পবিত্র নগরী মদিনায় উৎপন্ন হওয়া বিশেষ প্রজাতির খেজুর 'আজওয়া'। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সর্বপ্রথম নিজ হাতে এ খেজুর গাছ রোপন করেছিলেন। এ খেজুর গাছ রোপন ও জন্মের পেছনে রয়েছে বিশেষ কারণ। যার ফলে এ খেজুরের রয়েছে বিশেষ বরকত ও ফজিলত।
বিশ্বনবিরে নিজ হাতে পোড়া বীজ লাগানো খেজুরই আজওয়া। যা দুনিয়ার সবচেয়ে দামি ও উন্নতমানের সুস্বাদু খেজুর। এ খেজুরের গুণ, বরকত ও ফজিলত বর্ণনা করেছেন স্বয়ং বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। হাদিসে এসেছে-রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
যে ব্যক্তি প্রতিদিন সকালে কয়েকটি আজওয়া খেজুর খাবে, সেই দিন ও রাত পর্যন্ত কোনো বিষ ও যাদু তার কোনো ক্ষতি করবে না। অন্য বর্ণনায়, সাতটি খেজুর খাওয়ার কথা বলা হয়েছে। (বুখারি)
কেন খাবেন 'আজওয়া'?
১/ লাংস ও ক্যাভিটি ক্যান্সার থেকে শরীরকে দূরে রাখে।
২/ অন্ত:সস্তা নারীর সন্তান জন্মের সময় আজওয়া খেজুর খেলে জরায়ুর মাংসপেশির দ্রুত সংকোচন প্রসারন ঘটিয়ে প্রসব হতে সাহায্য করে।
৩/ ফুসফুসের সুরক্ষার পাশাপাশি মুখগহব্বরের ক্যান্সারজনিত রোগ নিরাময় করে।
৪/ প্রসব প্রবর্তী কোসঠকাঠিন্য ও রক্ত ক্ষরন কমিয়ে দেয় ।
৫/ এতে আছে ডায়েটরই ফাইবার যা কোলেস্টোরল থেকে মুক্তি দেয়।
৬/ এতে রয়েছে ৭৭.৫%কার্বোহাইড্রেট, যা অন্যান্য খাদ্যের বিকল্প হিসেবে কাজ করে।
৭/ এতে আছে ৬৩ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম ও ৭.৩ মিলিগ্রাম লৌহ যা হাড়,দাঁত,নখ, ত্বক, ও চুল ভাল রাখতে সহায়তা করে ।
খেজুর পচনশীল একটি পণ্য তবে ঠান্ডা এবং ফ্রীজিং করে রাখলে দীর্ঘ দিন সংরক্ষণ করা যায়। তাই যথা সম্ভব খেজুর ফ্রীজে সংরক্ষণ করুন।কিছু কিছু ফ্রেশ খেজুরে পোকা থাকার সম্ভবনা থাকে, তাই যেকোন খেজুর খাওয়ার সময় অবশ্যই চিরে খাবেন।শুধু যে পুরানো খেজুরেই পোকা থাকে তা কিন্তু না নতুন ফ্রেশ খেজুরেও পোকা থাকতে পারে।