আরেকটি জনপ্রিয় খেজুর হলো লুলু খেজুর। এই খেজুর দেখতে অনেকটাই আজওয়ার মত বা আমাদের দেশের পেকে লাল হয়ে যাওয়া বরই এর মত। এটিও খেতে বেশ মিস্টি ও সুস্বাদু। বিচির তুলনায় খেজুরে মাংস বেশী হয়ে থাকে। নিমিষেই এক প্যাকেট খেজুর খেয়ে সাবাড় করে ফেলা যায়।
আমাদের দেশে মূলত দুবাই এর ডেট ক্রাউন ব্র্যান্ডের প্যাকেটজাত লুলু খেজুর আমদানী করে এনে বিক্রয় করা যায়।
ডেট ক্রাউনের লুলু তিন সাইজের প্যাকেটে পাওয়া যায়ঃ
২৫০ গ্রাম
৫০০ গ্রাম
১ কেজি
আসুন জেনে নিন খেজুরের উপকারিতা-
১. খেজুরে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন, খনিজ, ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়া। খেজুরে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়।
২. ফাইবারও মিলবে খেজুরে। তাই এই ফল ডায়েটে রাখতে পারেন নিশ্চিন্তে।
৩. প্রতিটি খেজুরে রয়েছে ২০ থেকে ২৫ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম, যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
৪. রক্তস্বল্পতায় ভোগা রোগীরা প্রতিদিন খেজুর খেতে পারেন। একজন সুস্থ মানুষের শরীরে যতটুকু আয়রন প্রয়োজন, তার প্রায় ১১ ভাগ পূরণ করে খেজুর।
৫. যারা চিনি খান না তারা খেজুর খেতে পারেন। চিনির বিকল্প খেজুরের রস ও গুড়।
৬. কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় রাতে পানিতে খেজুর ভিজিয়ে রাখুন। পর দিন সকালে খেজুর ভেজানো পানি পান করুন। দূর হবে কোষ্ঠকাঠিন্য।
৭. খেজুরে থাকা নানা খনিজ হৃদস্পন্দনের হার ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
খেজুর পচনশীল একটি পণ্য তবে ঠান্ডা এবং ফ্রীজিং করে রাখলে দীর্ঘ দিন সংরক্ষণ করা যায়। তাই যথা সম্ভব খেজুর ফ্রীজে সংরক্ষণ করুন।কিছু কিছু ফ্রেশ খেজুরে পোকা থাকার সম্ভবনা থাকে, তাই যেকোন খেজুর খাওয়ার সময় অবশ্যই চিরে খাবেন।শুধু যে পুরানো খেজুরেই পোকা থাকে তা কিন্তু না নতুন ফ্রেশ খেজুরেও পোকা থাকতে পারে।