যখন ধনিয়া ফুল হয় তখন আমাদের মৌচাকগুলি ধনিয়ার মাঠে সারিবদ্ধভাবে বসিয়ে দেওয়া হয়। সেখান থেকে মৌমাছি ৮০-৮৫ ভাগ ধনিয়া ফুলের মধু আহরন করে থাকে যাকে আমরা ধনিয়া ফুলের মধু বলি। বাকি ১০-১৫ ভাগ অন্য ফুলের মধুর মিশ্রণ এখানে থাকে। এই মধুর ফ্লেভার ধনিয়া ফুলের ফ্লেভারের মত।
ভেজালমুক্ত প্রাকৃতিক মধু চেনার উপায়
খাঁটি মধু পানিতে মিশে না। এটা পরীক্ষা করার জন্য আমাদের কোয়ালিটি কন্ট্রোল এক্সিকিউটিভ তাঁর ল্যাবে চিনির সিরা এবং মধুর একটা মিশ্রণ তৈরি করে তা পানির গ্লাসে মিশিয়ে পানির গ্লাসে ঢেলে পরীক্ষা করে দেখলেন। ফলাফল দেখা গেল মধু খুব সুন্দর করে পানির সাথে মিশে গেল আর চিনির সিরা গ্লাসের নিচে গিয়ে জমা পড়ল; এতটুকু পানির সাথে মিশল না। এটাতো স্বাভাবিক ভাবে চিনির সিরা যদি জ্বাল দিয়ে ঘন করা হয় তাহলে পানির সাথে মিশবে না। এতে আমরা বুঝলাম, এই পরীক্ষায় চিনির সিরা পাশ করে গেলেও খাঁটি মধু সবসময় পাশ নাও করতে পারে।বিষয়টা হল যে এভাবে খাঁটি মধু নির্ণয় করা যাবেনা।
প্রাকৃতিকগত ভাবেই কিছু কিছু মধু পাতলা হয় সেই মধু যদি এই সকল পরীক্ষা করা হয় পানির গ্লাসে ও হাতে বৃদ্ধাংগুলির নখের উপর দিল পরীক্ষা করলে কখন সঠিক রেজাল্ট পাওয়া যাবেনা। পাতলা মধুটাকে যদি হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলির নখের উপর দেওয়া যায় সেটা অবশ্যই পড়ে যাবে থাকবেনা। চাষের মধু অনেক সময় পাতলা হওয়ার কারণ হল, মৌচাক হতে যখন মধু সংগ্রহ করা হয় সেখানে একটা নিদিষ্ট সময় লাগে মৌমাছিদের পুষ্প রস থেকে মধু তৈরি করতে সময়ের কম বেশি হওয়ার কারণে অনেক সময় মধু কম ঘনত্ব বা পাতলা হয়। যেমনঃ সুন্দরবনের ফুলের মধু, বরই ফুলের মধু প্রাকৃতিকগত ভাবেই পাতলা হয়।
খাঁটি মধুতে পিপড়া ধরেনাঃ মিষ্টি বস্তুতে পিপড়া ধরবেনা এটাতো কল্পনা করা যায় না, পিপড়া ওই সকল জায়গায় বেশি আকৃষ্ট যেখানে সুক্রোজ ও গ্লুকোজ থাকে। মধুর প্রধান দুইটা উপাদান হল সুক্রোজ ও গ্লুকোজ।